প্রথম দিন থেকে টার্ন করেছে বল, মিলেছে বাউন্স। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ছিল দুরূহ, তবে সেটি আবার ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিও নয়। ধৈর্য্য, টেকনিক, নিবেদন থাকলে এই উইকেটেও রান করা যায়, সেটি দেখিয়েছেন বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমানরাও। অসমান বাউন্স ছিল সামান্যতম, ব্যাটসম্যানদের জন্য বিপজ্জনকও তেমন ছিল না।
উইকেট মনমতো ছিল বলেই হয়ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ইংল্যান্ডকে দুইবার অলআউট করতে পেরেছে দল। ১৫ মাস পর খেলতে নেমেও সম্ভাবনা জাগাতে পেরেছে জয়ের।
ম্যাচ শেষে কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর অকুণ্ঠ প্রশংসা ঝরে ও উঠল মুশফিকের কণ্ঠে।
“এখানে বাবু ভাই অসাধারণ এক উইকেট বানিয়েছে। আমি যত টেস্ট ম্যাচ খেলেছি, আমার মনে হয় এই প্রথম কোনো কিউরেটরের কাছ থেকে এমন উইকেট পেয়েছি যেটা আমাদের জন্য সহায়ক, যা আমাদের পরিকল্পনা ছিল।”
আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। অনেক সময় এমন উইকেটে বোলাররা ভাবে প্রত্যেক বলে উইকেটে নেওয়ার কথা, তবে এটা এতটা সহজ নয়। তবে আমরা চেষ্টা করেছি। ২০ উইকেট নিয়েছি ফেলেছি, যেটা দারুণ ব্যাপার।”
তবে তৃপ্তির পাশাপাশি একটা আক্ষেপও ঝরল বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে।
“এমন উইকেটে যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারতাম, তাহলে হয়তো প্রস্তুতিটা ভিন্ন হতো। এটার হয়ত সুযোগ ছিল না। তারপরও বলব সব মিলিয়ে আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। আমাদের বোলাররাও খুব ভালো বল করেছে।”
উইকেটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ছিল, প্রথম সকাল থেকে টার্ন করলেও শেষ দিন পর্যন্ত উইকেট ভাঙেনি। চিড় থাকলেও সেটা রূপ নেয়নি ফাটলে। সৃষ্টি হয়নি বড় কোনো ক্ষত।
শুধু অধিনায়ক নন,,, মাঠের কিউরেটরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেও। এমনকি ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালেও আলাদা করে ডেকে নিয়ে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিউরেটরকে।
দল ও অধিনায়কের প্রত্যাশার মতো উইকেট উপহার দেওয়ার দায়িত্ব এবার মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার!!!!!
No comments:
Post a Comment